আশারাতুস সাআহ ও ফিতান রিভিউ
ইমাম মাহদী চলে আসছে, গাজওয়াতুল হিন্দ তো এই কিছুদিনের মাঝেই শুরু হয়ে যাবে, দাজ্জাল তো সেই কবে থেকেই একচোখ আর পিরামিডের সাইন দেখিয়ে আসি আসি করছে কিংবা চলেই এসেছে, কেউ আবার নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করছে -এরকম কত কথাই তো মুখে মুখে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে শুনে থাকি আমরা। কত কত কাহিনী আর ভবিষ্যৎ বাণী শুনতে পাই। মুখরোচক সিরিজ ও মানুষ বানায় এসব নিয়ে। এগুলোর সবগুলো কি বিশ্বাসযোগ্য? সামনে আসলেই কি সেগুলো শোনা শুরু করে দেয়া যৌক্তিক?
কিয়ামতের আলামতগুলো ও ফিতনা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত নিজেদের ঈমানের জন্য। কিন্তু যার তার কাছে থেকে এগুলো জানা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা অনেক fake news আছে এগুলো সম্পর্কিত। এক ইমাম মাহদী নামেই নাকি
২০০০+ দাবীদার। কি অবস্থা! অনেকেই হাদিসের সাথে একটু মিল পেলেই একটা বিষয় হাদিসে বর্ণিত ঘটনা বলে দাবী করে বসে। ভূ-রাজনৈতিক বিষয় না বুঝেই, কুরআন -হাদীস ঠিকমতো না বুঝেই অনেকে অনেক মন্তব্য করে ফেলে। এসব ক্ষেত্রে একটা সীমারেখা থাকা দরকার। সব উলামায়ে কেরাম একমত না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো কিছু নিজের বুঝ দ্বারা গ্রহণ করা উচিত না, সতর্ক হওয়া যেতে পারে শুধুমাত্র। Awarness তৈরির জন্য আলোচনা হওয়া উচিত কিন্তু স্বল্প বুঝ নিয়ে যা খুশি বলে ইসলামের বিষয়গুলোকে হালকা বানিয়ে ফেলছেন অনেকেই। আবার অনেকে জানেনই না এ বিষয়ে।
কেনো জানা জরুরী? –
◾ এ সম্পর্কে জানলে ঈমাণ বৃদ্ধি পায়।
◾ আখিরাত কেন্দ্রিক আলোচনা অনেক গাফেলতি থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে।
◾ গায়েবের বিষয়গুলো বোঝা ও এর বিশ্বাস দৃঢ় হয়। বান্দা হিসেবে যে আমাদের কিছু দুর্বলতা আছে, আমরা চাইলেই যে সবকিছু আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে আয়ত্ত্ব করে নিতে পারিনা -এই বিষয় গুলো আমরা উপলব্ধি করতে পারি।
◾ পৃথিবী যে একদিন ধ্বংস হবে সেই বিশ্বাস দৃঢ় হবে।
◾ সামনে কি ঘটতে যাচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত থাকবো। ফিতনাগুলো চিনতে পারবো। ফলে প্রস্তুতি- পদক্ষেপ কি হবে সেগুলো বুঝতে পেরে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে পারবো। হতাশ হয়ে পড়বো না। ভুল করার বা ফিতনায় পড়ে যাওয়ার ঝুকি থাকবে না।
◾ভুয়া উপস্থাপনা বুঝতে পারবো এবং সেক্ষেত্রে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারবো।
এছাড়াও আরো ফায়দা রয়েছে।
তালিমুন নিসা পাঠশালা কর্তৃক আয়োজিত “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান” কোর্সে এই বিষয়গুলো নিয়ে মোটামুটি অনেকটা ধারণা পেয়েছি। টুকটাক কিছু জিনিস জানা ছিলো, সেগুলো আরো ভালোভাবে বোঝার সাথে সাথে কত ভুল জানা বিষয়ের সঠিক ধারণা পেয়েছি সুবহান আল্লহ! কত আজগুবি জিনিসের ছড়াছড়ি-এগুলো জানতামই না। আলহামদুলিল্লাহ অনেক নতুন জিনিসও জানতে পেরেছি। কিয়ামতের আলামত ও ফিতনাহ গুলো সম্পর্কে জানতে ও এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে কোর্সটা খুবই প্রয়োজনীয়।
একজন আলেমের আন্ডারে থেকেই এই বিষয়গুলো শেখা প্রয়োজন কেননা তার কাছে থেকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিষয়গুলা সঠিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানতে পারি আমরা। তাছাড়া বই পড়ে এগুলো অতো ভালো বোঝাও যায়না , বুঝতে গেলেও দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের বইতে বিভিন্নভাবে লেখার কারণে Confusion তৈরি হয় কিংবা বেশিরভাগ লেখাই বাইবেল থেকে বা রেফারেন্সবিহীন বিভিন্ন কথা।
কোর্সটা করে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি আলহামদুলিল্লাহ। ইলম কতটুকু নিতে পেরেছি জানিনা তবে চিন্তায় যে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে এটা বুঝতে পারছি। অন্যকে জানাতে পারছি। ঈমান, আখিরাত, মৃত্যু নিয়ে আরো একটু গভীরে ভাবার খোরাক পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ আমাকে সহ সবাইকে এই ইলম দিয়ে আলোকিত করে দিন, ইলমকে আমলে পরিণত করতে পারার তাওফিক দিন ও এতে ভরপুর বারাকাহ দিয়ে দিন। আমীন ইয়া রব্বাল আ’লামীন।
Nishat Tasnim Hiya
আসসালামু আলাইকুম
তা’লিমুন নিসা কতৃক আয়োজিত আরোও একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ কোর্স “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান” অর্থাৎ, কেয়ামতের আলামত বা নিদর্শন সমূহ ও কেয়ামতের পূর্বে যে ফিতনা গুলো প্রকাশিত হবে সে সংক্রান্ত আলোচনা। অতি সম্প্রতি এতে অংশ গ্রহণের আমার সূযোগ হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ।
এই বিষয়গুলো জানা বা শিক্ষার লক্ষ্য হলো- মানুষ যেন আখেরাত কে ভূূলে না যায়, যেন সে সোজা সরল পথে চলে। আখিরাত ‘মৌলিক’, দূনিয়া ‘সাময়িক’ – এই চূড়ান্ত গন্তব্য এর বিষয়ে ভূলে গিয়ে যেন আমরা পারিপার্শ্বিক বিষয়ে বিভোর না থাকি। ইমানের পরীক্ষার বিষয় হলো গায়েবে বিশ্বাস স্থাপন। আখেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম এগুলো গায়েব। এ জন্যই ইমান – একটি পরীক্ষার বিষয়।
বিষয়গুলো জানার প্রয়োজনীয়তা হলো যেন আমরা গাফেল না থাকি, এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় গুলো কি? ফেতনা থেকে বাঁচার উপায়গুলো কি? ( যদি না জানি তাহলে এতে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে স্বাভাবিক) এতে করে ইমান বৃদ্ধি পায়, ইমান মেরামতের কাজ হয়। আখিরাত মূখিতা বাড়ে, যুহুদ বাড়ে। সর্বপরি সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীস, নবিজি (সা:) বলেন, এমন কেন হলো যে আমি দেখতে পাচ্ছি তোমাদের আলেমগণ দূনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন; এবং তোমাদের যারা মুর্খ তারা তো ইলম শিখছে না। সুতরাং তোমারা ইলম শিক্ষার প্রতি মনযোগী হও ইলম উঠিয়ে নেয়ার আগে। মনে রেখো, ‘ ইলমে হামেল’ চলে যাওয়া মানে ইলম বিদায় নেয়া।
নবিজি (সা:) আরও বলেন, আলেমগণ তাঁর নবির ওয়ারিশ। নবিগণ দিনার/ দিরহাম ওয়ারিশ বানিয়ে যান না তাঁরা ইলমের ওয়ারিশ তৈরি করে যান। যে কি-না ইলম শেখালো সে নবির ওয়ারিশ হয়ে গেল।
একটা সময় ইলম ছিলো ইমামদের অন্তরে তখনও বই বা লিখিত আকারে ছিলো না। এরপর ইলম চলে গেলো বইয়ের পাতায় কিন্তু চাবি রয়ে গেল আলেমদের হাতে। এটা গুরুমুখী শিক্ষা। যা অন্তর থেকে অন্তরে আসে। সিনা থেকে সিনায়। এটাই সিলসিলা।
আজকাল celebritism এর যুগে কিছু লোক নিজেদের কে উপস্থাপন করতে পারেন চমৎকার ভাবে তাই তাদের fan/ followers তৈরি হয়। কিন্তু দ্বীনের গভীর জ্ঞানের অধিকারি যে প্রবীণ আলেম আছেন তিনি থাকছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার এটাকে আরও জটিল করে ফেলছে।
তাই দ্বীনি বিষয় গুলো আমরা অতি অবশ্যই একজন আলেম এঁর তত্বাবধানে থেকেই শিখবো এটাই শ্রেয়।
উস্তাদ শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এঁর বরাবরের মতোই প্রাঞ্জল উপস্থাপনা ও উনার ব্যক্তিগত ইস্তেহাদ- সামগ্রিক চিত্রটা বুঝতে সহজ করেছে।
তা’লিমুন নিসা পাঠশালা কে আমার অন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানাই। তারা কোর্সগুলোর ফী নামমাত্র নির্ধারণ করে থাকেন ফলে আগ্রহী সকলের অংশ গ্রহণ সহজ হয়ে থাকে।
সামনের দিনগুলোতে এসব দারসে আমার দ্বীনি বোনেদের ব্যাপক উপস্থিতির আশা রাখছি, ইনশাআল্লাহ।
Nishat Tasnim Hiya
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কেয়ামত হবে, কিন্তু কখন হবে আমরা কেউ জানি না। চারিদিকে এত ফিতনা ফাসাদ, বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনা দেখে অনেকে বিভিন্ন রেফারেন্স এর আলোকে কেয়ামত এর দিন ফিক্সড করে মিডিয়া তে ছড়িয়ে দেয়। আমরা মূর্খ জাতি তাই বিশ্বাস করে ফেলি। দুনিয়ার সব বিষয়ে জানতে চাই, স্মার্ট হতে চাই। কিন্তু একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম এবং একমাত্র জীবন ব্যবস্থা কোরআন সম্পর্কে জানতে আমাদের যত পিছুটান।
এই কঠিন সময়ে নিজের এবং পরিবারের ঈমান বৃদ্ধি এবং গাফিলতি দূর করার জন্য আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান খুবই কার্যকর এবং সময়োপযোগী একটি কোর্স।
এই কোর্সটি অবশ্যই একজন আলেমের আন্ডারে থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এবং সুনির্দিষ্টভাবে করা উচিত। ভিন্ন নাম না জানা youtube বা বিভিন্ন মিডিয়া থেকে জানতে গেলে আমাদের পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক উপকৃত হয়েছি, অনেক ভ্রান্তি দূর হয়েছে, অনেক বিদাত আমল হিসেবে জানতাম সেগুলো দূর করতে পেরেছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমার এবং এই কোর্সের সাথে জড়িত উস্তাদ এবং প্রত্যেক কে আমলে বারাকাহ দিন এবং কবুল করুন। আমিন।
Quasha Tahmina
আলহামদুলিল্লাহ্, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ্,,, তালিমুন নিসা পাঠশালার সাহায্যে খুব ই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে কম বেশি সকলের ই আগ্রহ আছে।কিন্তু এ বিষয়ে সত্য তথ্যের চেয়ে মিথ্যা তথ্য বেশি আর সাধারন মুসলিম এসব মিথ্যা তথ্য দেদারছে বিশ্বাস করে। আমিও অনেক ভুল তথ্যকে সত্য বলে জেনেছিলাম কিন্তু আশরতুস সা’আহ ওয়া ফিতান এ কোর্সটি করে আমার অনেক ভুল ধারনা ভেঙেছে আলহামদুলিল্লাহ্। আর হ্যা এসব তথ্য অবশ্যই একজন হক্কানী আলেম এর তত্ত্বাবধানে জানা উচিত,যাতে করে সঠিক তথ্য জানা যায়। কারন আমরা যদি সঠিক তথ্য জানি তবেই কেবল নিজের পরিবার আর সমাজের মানুষদের সঠিক তথ্য জানাতে পারবো।এ কোর্সের তত্ত্বাবধানে ছিলেন শায়খ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ উস্তায।আলহামদুলিল্লাহ্ উনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
এ কোর্স থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমার বাস্তব জীবনে প্রয়োগের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যাতে করে ফিতনার সময়ে নিজে, নিজের পরিবার এবং সমাজের মানুষদের ঈমান রক্ষায় সতর্ক থাকতে পারি,আল্লহপাক আমায়াদের ভরপুর তওফিক দান করুন,আমীন।
সর্বোপরি তালিমুন নিসা পাঠশালার জন্য অনেক অনেক বারাকাহের। দু আ রইলো,যেন আরো বেশি বেশি বোনদের উপকারে আসে এ প্রতিষ্ঠান।আল্লহপাক রহম করুন এ প্রতিষ্ঠান ও এর সংশ্লিষ্ট সকল বোনদের প্রতি,,,,,,আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ
Razia Sultana
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তা’য়ালা অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে বিশদভাবে জানার তাওফিক দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি কারণ আছে এর পেছনে।
⛏️প্রথমত এ কোর্সের পুরো আলোচনাই পৃথিবী ধ্বংস ও তার পরবর্তী সময় “আখিরাত” কেন্দ্রিক। তাই আমি আখিরাতের রিমাইন্ডার পাই। এছাড়া একোর্সে এমন অনেক বিষয় আছ যা সম্পূর্ণ ইলম বিল গায়েব। আর ঈমান বৃদ্বির বিষয় তো আছেই। সবচেয়ে বড় ফায়দা হল-দাজ্জালের আবির্ভাব বা যে কোন ফিতনাতে আমাদের করণীয় ঠিক করা।
এমন জরুরি বিষয় জানার জন্য একাকী ইলম চর্চা ও ভাবনা বেশ বিপদজনক, এতে পথের দিশা পাওয়ার পরিবর্তে পথ হারানোর সম্ভাবনায় বেশি। একজন কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান সম্পন্ন বিজ্ঞ আলেম ছাড়া অন্য কারো পক্ষে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য বাছাই করা সম্ভব না। আর ইলম তো কল্ব থেকে কল্বে আসে।
কোর্স করার আগে কিয়ামতের আলামত এবং ফিতনা বিষয়ে একেবারে ভাসা ভাসা ধারণা ছিল। যখনই কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিয়ামতের আলামত বলে হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ত আমি বিশ্বাস করতাম। 🌀কিন্তু প্রতিটা ঘটনা কুরআন হাদীসের বর্ণনার সাথে মিলানো-এটা একোর্সেই জেনেছি। কিয়ামত আলামত গুলোকে বর্তমান সময়ের সাথে মেলাতে গিয়ে কত জানাশোনা বোদ্বালোক ও যে ভুল করেছেন তা আমার জানা ছিল না।
কিয়ামত কখন হবে- এ ভাবনার চেয়েও বড় বিষয় হলো আমার মৃত্যুর সাথে সাথেই আমার কিয়ামত শুরু হয়ে যাবে! হায়! আলমে বারযাখ থেকে জান্নাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিলিয়ন বিলিয়ন বছর অগণিত সময় নির্ভর করছে আমার দুনিয়াবি কিছু মূহুর্তের ওপর। তবু এত গাফেল!! আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমার সব গাফলতি, কমতি, ঘাটতি দূর করে দিন, মু’মিনা-স্বলেহীনা হওয়ার তাওফিক দান করুন। সেই সাথে তালিমুন নিসার সকল বোনদের আল্লাহ জাযায়ে খায়ের দান করুন দুনিয়া এবং আখিরাতে। উস্তাদের জন্য অনেক অনেক বারাকাহর দু’আা।
তারার নদী
কিয়ামতের ছোট বড় আলামত সম্পর্কে টুকটাক আগে জানতাম। মনে হতো এই বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত ভাবে জানতে পারলে ভালো হতো। সবচেয়ে ডিস্টার্বিং বিষয় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিশেষ করে ইউটিউব এর বিভিন্ন চ্যানেলগুলোতে কিয়ামতের আলামতগুলো বিশেষ করে ঈমাম মাহাদী চলে এসেছে,দাজ্জাল এর ফিতনা,ফ্রি-মেসোনারি গোষ্ঠী এসব নিয়ে সত্য-মিত্যা মিলিয়ে অনেক বানেয়াট/উদ্ভট কিছু তথ্য প্রচার করে যা সাধারণ মুসলমানদের মনোজগতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যাদের এ বিষয়ে ইলম নেই তারা ঐসব পোস্ট,ভিড়িওর বিষয়বস্তু না বুঝার দরুন ভুলভাবে প্রভাবিত হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমিও এক সময় ঐ মানুষদের কাতারে ছিলাম। এর বড় একটা কারণ হচ্ছে ইলমের অভাব বা স্বল্প ইলমের প্রভাব। ঐ যে ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে না
“A little learning is a dangerous thing”
অর্থাৎ,স্বপ্ল বিদ্যা ভয়ংকরী।
আমার এই স্বপ্ন বিদ্যা ভয়ংকরই থেকে যেত যদি না “আশরাতুস সা’আহ এবং ফিতান” এই কোর্সে এনরোল না করতাম। যার ইন্সট্রাক্টর ছিলেন “শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ”। আল্লাহ শায়েখের ইলমের পরিধি আরো সমৃদ্ধ করুন।আমীন
সাধারণত লম্বা ডিউরেশন এর ক্লাস গুলোতে একটা সময় পর মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। কিন্তু শায়েখ দারস গুলোতে লম্বা সময় কিভাবে যেন পার হয়ে যেত। আর যে বিষয়টি উল্লেখ না করলেই নয় যে শায়েখ যেভাবে প্রতিটা আলামত ঘটার প্রক্ষাপট সমূহ, আমাদের নবী (সা), সাহাবায়ে কেরামের যুগে কিভাবে কিয়ামত বিষয় গুলো ধাপে ধাপে এসেছে এ সব কিছু খুব সুন্দর এবং গুছিয়ে বুঝিয়েছেন । কোনটা সত্য কোনটা ভ্রান্ত, আদৌ কি কেয়ামত খুব সন্নিকটে?? এ বিষয়গুলো সত্যি প্রত্যেকটা মানুষের জানার প্রয়োজন।
প্রত্যকটা যুগেই মানুষ ফিতনার মধ্য ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতে এর মাত্রা আরো প্রকট হবে। এই ফিতনার মাত্রা ঠিক কি পরিমাণ ভয়াবহ হলে এই পৃথিবী একদিন ধবংস হবে?? সত্যিই আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন…
কোর্সঃ আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান
ইন্সট্রাক্টরঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
আয়োক প্রতিষ্ঠানঃ তালিমুন নিসা পাঠশালা🌸
রব এর কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো মুফিদ ইলম অর্জনের সহায়ক হিসেবে কবুল করুন।আমীন।
Naznin Jahan
মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর আয়োজন ও উপস্থাপনা ছিল।
আমরা জ্ঞান অর্জন এর নামে কি যে করেছি এখন বুঝছি।
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কতোটা অজ্ঞ আমি প্রত্যেক ক্লাস এ অনুভব করেছি।
ভয় পাচ্ছি এটা জেনে যে, সহী হাদিস অনুযায়ী কেয়ামতের আলামত সংক্রান্ত বই গুলো বাছাই করতে পারাটা কঠিন ভেবে।
না জানি কতো দ্বীনি কিতাব কিনি পড়ার জন্য তার মধ্যে ও কি ভুল আছে? সহীহ হাদীস অনুযায়ী ব্যাক্ষা আছে কি?
একেবারে অজানা তথ্য গুলো কোর্স থেকে জানতে পেরেছি।
আমাদের উত্তর সূরী রা কত কঠিন ফিতনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা জেনেছি।
জেনেছি কিভাবে আমরা নিজেদের ঈমান কে টিকিয়ে রাখতে পারবো দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।
ইয়াজুজ মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হয়েছে।
ATEKA YASMIN
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা অনেক উত্তম একটা কোর্সের মাধ্যমে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে জানার তৌফিক দিয়েছেন ।
Rakhi Bhuiya
আলহামদুলিল্লাহ 🌻আলহামদুলিল্লাহ
আমরা সবাই জানি কেয়ামত হবে একদিন। কিন্তু
কখন হবে কিভাবে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন কিছু শুনি এবং দেখি যা কতটা কুরআন ও সুন্নাত সম্মত তা আমরা বিচার বিবেচনা না করে একজনের কাছে শুনা জিনিস অন্যকে প্রচার করি যেকোনো কিছুকে বলা হয় কেয়ামতের আলামত হিসাবে যা অত্যান্ত দুঃখ জনক এবং হতাশপুর্ণ এতে নিজে বিভ্রান্ত ও হতাশ হয়ে পরি অন্য জনকে বিভ্রান্ত হতে দেখি।এই বিভ্রান্ত ও হতাশা থেকে বাঁচার জন্য কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের কি বলছে এটা দেখা।আমি যখন বিভিন্ন ভিডিওতে কেয়ামত আলামত সম্পর্কে দেখতাম তখন সত্যি অনেক হতাশ ও দুচিন্তায় পড়ে যেতাম। তখন ভাবতাম আমার কি কিছুই করার থাকবেনা।তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাকে একটা কোর্স এর মাধ্যমে আমার হতাশা ও দুচিন্তা থেকে মুক্তি দিল।আলহামদুলিল্লাহ হে! আমাদের কিছু করার
আছে তা জানতে হলে 🌺 কোনো আলেম ওলামার শরণাপন্ন হতে হবে।সে কেয়ামত আলামত সম্পর্কে জানতে আমি যুক্ত হলাম আমাদের সবার প্রিয়
প্রতিষ্ঠান 🍁তালিমুন নিসা পাঠশালা
কোর্সের নাম🌹আশরাতুস সা’আাহ ও ফিতান
আলহামদুলিল্লাহ আমি উস্তাদ এর মাধ্যমে
কেয়ামত এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কুরআান ও সুন্নাহ সম্মত আলোচনা শুনলাম।
আলহামদুলিল্লাহ 🌻
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করার তৌফিক দান করুক
আমিন🤲
তাই সব বোনের জন্য দাওয়াত রইল🌷
যখন এই কোর্সের নতুনভাবে রেজি: শুরু হবে
তখন সময় নষ্ট না করে যুক্ত হওয়ার আহ্বান।💫💫💫💫💫💫
Shamima
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ এমন একটা কোর্সের সাথে আল্লাহ তায়ালা যুক্ত করেছেন আমার মতো এক অধমকে সম্পূর্ণ প্রশংসা ওই মহান রবের।
কোর্সের পুরোটুকুই জেনো আমাকে এক নতুন উপলব্ধি দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
কতশত ভুল ধারণা সম্পর্কে জানতে পেরেছি জানতে পেরেছি অনেক না জানা বিষয় নিয়ে। কোর্স টা এই সময়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় এই কোর্সটা প্রত্যেকের করা উচিত।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই কোর্স থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা সারাজীবন ধরে রাখার তৌফিক দান করুন। অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।
তাসলিমা আক্তার লাখি
★★★আলহা’মদুলিল্লাহ, আলহা’মদুলিল্লাহ, আলহা’মদুলিল্লাহ!!!
☘️☘️☘️সম্প্রতি “”” তা’লিমুন্নিসা পাঠশালা “”কতৃক আয়োজিত, সম্মানিত উস্তাদ ” শাইখ আব্দুল্লহ্ আল মাহমুদ “এর মতো একজন অভিজ্ঞ, স্বনামধন্য আ’লিম এর আন্ডারে ” আশরতুস সা’আহ ও ফিতান ” নামক কোর্সটি করার তাওফিক দান করেছেন আমার মহিমান্বিত “”” রব””আল্লহ্ সুবহা’নাহু ওয়া তায়া’লা।
🌿🌿আশরতুস সা’আহ্ ও ফিতান হচ্ছে, ১৪০০ বৎসর পূর্বে আমাদের প্রিয় নাবী মুহা’ম্মাদ ছ্বল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ক্বিয়ামাতের আগে যে সমস্ত আলামাত ও যুদ্ধ -বিগ্রহ সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যতবাণী করে গিয়েছেন। সেই আলামাত গুলো ২প্রকার। (১)আ’লামাতে কুবরা বা বড়ো আ’লামাত, যার সংখ্যা প্রায় ১০টি, ও (২)আ’লামাতে ছুগরা বা ছোট আ’লামাত।
🌿নাবী কারীম ছ্বল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর ক্বিয়ামাত সংক্রান্ত ভবিষ্যতবাণী গুলো সেই সাহাবাহ্ আজমাঈন রদ্বীয়াল্লহু তায়া’লা আ’নহুম এর জামানা থেকেই বাস্তবায়ন হওয়া শুরু হয়েছে। ছোট আ’লামাত গুলোর প্রায় ৮০/৯০℅ এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। কোনো কোনো আ’লামাত প্রকাশিত হয়ে এখনো বিদ্যমান আছে।
☘️☘️☘️আলহা’মদুলিল্লাহ্! গত একমাস যাবত ১২টি দারসের মাধ্যমে সম্মানিত উস্তাদ আমাদেরকে এই আ’লামাত গুলো সম্পর্কে একেবারে বাছাই করা সহীহ্ হাদীস থেকে খুবই সুস্পষ্ট ও সাবলীল ভাবে বুঝিয়েছেন। মাশাআল্লহ্!
👉👉👉এখানে আমি আমার অন্য বোনদের দা’ওয়াহ্ দিয়ে যাচ্ছি, যারা এখনো ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন নি, তাঁদের উদ্দেশ্য নিম্নলিখিত পয়েন্টে কয়েকটি কথা লিখছি :
👉১|কোর্সটি কেনো করা প্রয়োজন?
**ক্বিয়ামাতের আ’লামাত গুলো হচ্ছে ‘গায়েবের’ বিষয়। এধরণের গায়েবের বিষয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, আমাদের কাজ হলো এগুলোকে পরিপূর্ণ বিশ্বাস করে নেয়া। “”
**হাদীসের কোনো বর্ণনা আমাদের কাছে যুক্তি সম্মত মনে না হলে, বিজ্ঞান সম্মত না হলে, আমাদের Commonsense দিয়ে আয়ত্ব করতে না পারলে আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। “তাহলে তো এটা আমাদের জন্য গায়েবের প্রতি ঈমান আনা হলো না।
***আমাদের মনে রাখতে হবে, “” ক্বুরআন -সুন্নাহ, দ্বীনি শারিয়া’হ্, এগুলো এতো ঠুনকো বিষয় নয়, এতো হালকা নয় যে, এগুলোর সত্য-মিথ্যা নির্ণয়ের জন্য আমাদের কে অন্য কিছুর দারস্থ হতে হবে!!!
🍁🍁🍁সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে, যেখানে ক্বুরআন ও হাদীসে ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলো সম্পর্কে একদম সুস্পষ্ট বর্ণনা সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে, অকাট্য দলিল -প্রমান রয়েছে, যার প্রতি ঈমান রাখা একজন মুসলিমাহ্ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের জন্য ফরজ। সেখানে কিভাবে নিশ্চিন্তে, গাফিলতি তে দিন কাটানো যায়??? যদি এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা না হয় এবং আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি না থাকে, তাহলে আমরা মারাত্মক ভুল করার, বিপদে পড়ার এবং এ ফিতনা গুলোর মধ্যে লিপ্ত হয়ে যাবার ঝুঁকি থাকবে।
তাই বোনদের উদ্দেশ্যে বলছি, এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলে “”আমাদের ঈমান বিল গায়েবের প্রতি বিশ্বাস সুদৃঢ় হবে, “” আমাদের গাফিলতি দূর হবে, এবং “” আমরা যখন আলামত গুলোর সম্মুখীন হবো, তখন সেসব বিষয়ে ক্বুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমাদের করণীয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো ইংশাআল্লহ্!
👉👉👉 তবে এ বিষয়ের জ্ঞান অবশ্যই অবশ্যই কোন একাডেমিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো হাক্ক্বনী আ’লিমের আন্ডারেই করতে হবে। কারণ, ইদানীং ইউটিউব ও বিভিন্ন বই-পুস্তকের মাধ্যমে যেভাবে ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলো সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যার যার নিজস্ব ইজতেহাদ বা গবেষণার দ্বারা, যা আমাদের মধ্যে রিতীমত ভয়, হতাশা তৈরি করছে। যেমন:
**কেউ কেউ ভূ-রাজনৈতিক কল্পকাহিনী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ -বিগ্রহ দেখে ক্বিয়ামাতের আলামাতের সাথে মিলিয়ে পরিপূর্ণ একটা ক্যালকুলেশান করে ফেলেন।
***২০০০এরও বেশি লোক ভূয়া ইমাম মাহদী দাবী করা হয়ে গিয়েছে।
***সবচেয়ে বেশি আলোচিত চিত্তাকর্ষক উপস্থাপন হচ্ছে “দাজ্জাল ” এর বিষয় নিয়ে। কেউ দাজ্জাল কে আধুনিক সভ্যতা, পশ্চিমা Culture, কেউ বা তাকে TV, AI , ইত্যাদি নাম দিয়ে, আবার কেউ কেউ তাকে ইলুমানাতি, বারমুন্ডা ট্রায়াংগেল ইত্যাদি ইত্যাদি নাম দিয়ে রুপক অর্থে বর্ণনা করে যাচ্ছেন। আর এতে আমাদের একেকজনের অবস্থা ভয়ানক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
🌼এভাবে ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলো সম্পর্কে কোনো রকম সহীহ্ ই’লম্ ছাড়া বর্ণনা করার কারণে যে কোন ফিতনায় পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি।
★★★ আর এজন্যই হাক্ক্বনী আ’লিমদের তত্বাবধানে থেকেই ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
👉👉👉👉 ইংশাআল্লহ্ আমাদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান *তা’লিমুন্নিসা পাঠশালা * থেকে আবার যখন এ বিষয়ে এনাউন্স আসবে, আমার বোনেরা এনরোল করে ফেলবেন। তখন নিজেরাই বুঝতে পারবেন, কোথায় বর্তমানের চিত্তাকর্ষক বর্ণনা, আর কোথায় ক্বুরআন ও সুন্নাহ’র সহীহ্ বর্ণনা। অন্তরে সত্যের প্রশান্তি অবশ্যই লাভ করবেন ইংশাআল্লহ্!!!
Student
আলহামদুলিল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স ছিল আশরাতুস সা’আহ ওয়া ফিতান 🤍
এই কোর্সটি প্রত্যেকের করা উচিত কারণ কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে আমরা অনেক কমই জানি। একজন প্রকৃত আলেমের কাছ থেকে আমাদের জানা উচিত নাহলে অনেক ভুল-ভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে।
Karimunnahar Tamanna
আলহামদুলিল্লাহ
একটা উত্তম কোর্স।
আমি আগে ফিতনার বিষয় ফিতনায় পতিত ছিলাম।আশরাতুস সা’আহ ও ফিতনা কোর্সটা করে অনেক উপকৃত হয়েছি।একজন আলেম কুরআন আর সুন্নাহর আলোকে এতো সুন্দর করে বুঝিয়েছেন যা বই আর লেকচার শুনে এতো সহজে বোধ গম্য হতনা।আখিরাত পেতে হলে এই বিষয় জানা এবং জানানো প্রয়োজন।
Lufunnahar Lutfah
জাযাকাল্লাহু খাইরন। সমস্ত প্রশংসা আল্লার যিনি আমাকে তালিমুন্নেসার সাথে আশরাতস সা’আহ ও ফিতান কোর্সটি করার সুযোগ করে দিয়েছে। কত অজানা জানলাম, কত অস্পষ্টতা দূর হলো।তাইলুমুন্নেসার পাঠশালা’র প্রতিটা কোর্সই সমৃদ্ধ, কেউ শূন্য অর্জনে ফিরবে না, কিছু না কিছু অর্জন হবেই।আর এই কোর্সটি ছিলো নতুন আর ইউনিক। আলহামদুলিল্লাহ।
Taufiqa Nipu
আলহামদুলিল্লাহ খুবই ফায়দাজনক একটি কোর্স ছিল আশরাতুস সা’আহ ওয়া ফিতান ।
এই কোর্সটি প্রত্যেকের করা উচিত কারণ কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে আমরা অনেক কমই জানি। বিভিন্ন ভ্রান্তির শিকার হয় ভুল তথ্য জানি তাই একজনপ্রকৃত আলেমের কাছ থেকে আমাদের জানা উচিত।
উম্মাতে মুহাম্মাদী
আলহামদুলিল্লাহ, আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান এই কোস করার তউফিক আল্লাহ পাক আমাকে দিয়েছেন। দুনিয়া নিয়া আমরা এত উৎসাহি যে আখিরাত এর কথা ভুলেই যাই,এখান অনক কিছু নিয়ে চিন্ততিত হয়েছি,নিজের ইমান আমল নিয়ে চিন্তিত হয়েছি,উস্তাদ র তত্ত্বাবধানে এই ক্লাস গুলু করা য কত গুরুত্বপূর্ণ অনক কিছু পরিস্কার ধারনা হয়,এই course করার আমার একটা উদ্দেশ্য ছিল য আমি নিজে যদি না যানি বাচ্চাদের কি শিখাব তাদের কি করে আখিরাত র জন্য তইরি করব।আল্লাহ যেন আমক তউফিক দেন নিজের আমল ইমান ক মজবুত করতে পারি ইন শা আল্লাহ।
Rubaiya Haque
“তা’লিমুন নিসা” অনলাইন প্লাটফর্মের দ্বারা পরিচালিত “তা’লিমুন নিসা পাঠশালা “অধীনে”আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান” নামক যে কোর্সটি আমি সম্পন্ন করেছি, সেই কোর্সটি আমার জন্য শিক্ষণীয়, গোছানো ও যুগোপযোগী এবং কাঙ্ক্ষিত কোর্স ছিলো, আলহামদুলিল্লাহ।আমরা প্রতিনিয়ত কেয়ামত সম্পর্কে মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের তৈরি বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক ঘটনাগুলো জেনে আরও বেশি পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছি।অনেক কুরআন সম্পর্কে অভিজ্ঞ মানুষও মিডিয়ার মাধ্যমে কেয়ামত এবং কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চলেছেন,যা মনে ভীতির উদৃেক করছে।সব মিলিয়ে নিজেকে খুব বেশি দিশেহারা মনে হচ্ছিল।কার কথা বিশ্বাস করবো, মনে এত প্রশ্ন কেয়ামত সম্পর্কে কাকে জিজ্ঞেস করবো, এমন একটি অবস্থায় আমি তা’লিমুন নিসার এই কোর্সটি সম্পর্কে জানতে পারি।আমি যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানে আরও কোর্স করেছি তাই “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান”কোর্সের মাধ্যমে আমি যে যথাযথ ভাবে কেয়ামত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো তা নিয়ে আর কোন সন্দেহ ছিলো না, আলহাদুলিল্লাহ।এই কোর্স করার পরে কেয়ামতের আলামতের ইসলামের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। যা মনকে সচেতন করছে সাথে কেয়ামতের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।আমাদের উস্তাজ অভিজ্ঞ আলেম “শাইখ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ” সুন্দর করে সময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে এবং পথনির্দেশনা প্রদান করেছেন, মাশাআল্লাহ।এতে আমরা কেয়ামত সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেয়েছি এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে অবগত হয়েছি।তাই এই ধরনের কোর্স অবশ্যই তা’লিমুন নিসার মত অভিজ্ঞ কোন প্লাটফর্ম এবং অভিজ্ঞ আলেমের অধীনে করা উচিত।আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লা এই কোর্সের উস্তাজ, উস্তাজা এবং সংশ্লিষ্ট সব আপুদের উত্তম প্রতিদান দিন।আমীন ইয়া রব্বুল আলামীন।
তাইয়েবা জাবিন
..আমাদের গাফলত দূর করে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত হতে,
..ঈমান বৃদ্ধির জন্য,
..কঠিন সময়ের আগেই নিজের ও পরিবারের সতর্কতা অর্জনে করণীয় জেনে প্রস্তুতি নিতে “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান” কোর্সটি উত্তম সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষিপ্তভাবে জানার চেয়ে একজন দক্ষ আলেমের তত্ত্বাবধানে শেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আমাদেরকে কুরআন-সুন্নাহর সহীহ আলোচনার প্রেক্ষিতে, সালাফদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সঠিক শিক্ষাটা দিতে পারবেন। তাদের দূরদর্শিতার গুণে আমাদের হালত ও করণীয় বুঝাতে পারবেন, যা অন্যকোথাও পাওয়া যায় না।
আমিও এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে অনেক কিছু জেনেছি। তবে সেটা যে অতিনগন্য এই কোর্সে এসে বুঝেছি। কতকিছু সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান ছিল না। এখানে জানলাম -ইয়াজুজ,মা’জুজ, খলিফা আল-মাহদী, ঈসা(আ:),দাজ্জালের বিষয়ে। কিয়ামতের প্রকৃত আলামত। আলহামদুলিল্লাহ।
এখানে অনেক বিষয় ছিল যা, আমাদের ঈমান বাড়িয়েছে। অনেক বিষয়, সতর্ক করেছে সেসময় আসার আগেই আমি যেন নেক আমলে দ্রুত অগ্রসর হই।
-আলামতের অপেক্ষায় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকি।
-ইলমের কদর করি।
-কুরআনের সম্মান করি।
-মানুষের সাথে লেনদেন সাফ করি। পরিবার, আত্মীয়দের হক আদায়ে সচেতন হই।
-আখিরাতের কঠিন দিনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে দুনিয়াতেই প্রস্তুতি নেই।
আল্লাহর রহমতে চেষ্টা করছি শিক্ষাগুলো জীবনে প্রয়োগ করতে। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমাদের থেকে কবুল করুন। দুনিয়া ও আখিরাতের ফিতনা থেকে বাঁচিয়ে আমাদেরকে জান্নাতের চিরশান্তি নসীব করুন। আমীন
جزاكن الله خيرا أحسن الجزاء 🌺
Jannatul Ferdous
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো না,সাথে আপনাদের جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة
।আলহামদুলিল্লাহ আপনারা আমাদেরকে অনেক বড় একটা সুযোগ করে দিয়েছেন।এই কোর্সের মাধ্যমে। নিজের ইমান বাঁচানো এর জন্য পরিবারের এর জন্য ও।অনেক বিষয় শুনে জানা ছিলো, কিন্তু তাতে ভালো করে বুঝতে পারতাম না।কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ হুজুর থেকে সব কিছু অনেক ভালো করে বুঝেছি।আর অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে সর্ম্পকে জানা,আর আলেম এর আন্ডারে জানা। আসলে এর গুরুত্ব বুঝায় বলে শেষ করা যাবে না।এখন যে ফেতনাগুলো আসতেছে নিজেকে বাচাঁনোর জন্য অনেক উত্তম একটা কোর্স। আমার অনেক বেশি উপকার হয়েছে।আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া ওনি আমাকে এই কোর্সটা করার তৌফিক দিয়েছেন।তা’লিমুন নিসা পাঠশালা থেকে আশরাতুস সা’আহ ফিতনা কোর্সটা করে অনেক উপকার হয়েছে।আর আলেম এর মাধ্যমে করে সুন্নাহ মতো সব কিছু অনেক ভালো করে আল্লাহ বুঝার তৌফিক দিয়েছেন।আলেম এর মাধ্যমে বিষয়গুলো যেভাবে বুঝা সহজ সেটা লেকচার শুনে বা বই পড়ে বুঝা কঠিন হবে। আর আলেমরা এই বিষয় গুলোতে মাশা আল্লাহ অনেক জ্ঞানী। সবার এই কোর্সটা করা অনেক দরকার।
Umme Salma Hamida
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অর্জন করার খুবই দরকার। কারন মানুষের মুখে মুখে এটা সেটা সবকিছুই কিয়ামতের আলামত বলা হয় যার ফলে হতাশ হয়ে পরি।আমরা হাল ছেড়ে দিয়ে থাকি। তাই আমাদের এই হতাশা থেকে বাঁচার জন্য কুরআন ও সুন্নাত সম্মত কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে জানা আলেমদের আলোচনা শুনে কিয়ামতের সঠিক আলামত সম্পর্কে ধারণা থাকা অপরিহার্য একজন মুসলিম হিসাবে। এই রকম একটা কোর্স আমি করলাম আলহামদুলিল্লাহ
কোর্সের নাম :আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান।
তা’লিমুন নিসা পাঠশালা
যার মাধ্যমে কিয়ামতের ছোট বড় আলামত। ইমাম মাহদীর আগমন।ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমন,দাজ্জালের ফেতনা।ইত্যাদি কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে জানতে পারলাম আলহামদুলিল্লাহ।
Shamima Sultana
আসসালামু আলাইকুম
তা’লিমুন নিসা কতৃক আয়োজিত আরোও একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ কোর্স “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান” অর্থাৎ, কেয়ামতের আলামত বা নিদর্শন সমূহ ও কেয়ামতের পূর্বে যে ফিতনা গুলো প্রকাশিত হবে সে সংক্রান্ত আলোচনা। এতে অংশ গ্রহণের আমার সূযোগ হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ।
এই করসে উস্তাদ অনেক সুন্দর করে বিসদ ভাবে বিষয় গুলো আলচনা, করেছেন আলহামদুলিল্লাহ, বিষয়গুলো জানা বা শিক্ষার লক্ষ্য হলো- মানুষ যেন আখেরাত কে ভূূলে না যায়, যেন সে সোজা সরল পথে চলে।
তা’লিমুন নিসা পাঠশালা কে আমার অন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানাই। তারা কোর্সগুলোর ফী নামমাত্র নির্ধারণ করে থাকেন ফলে আগ্রহী সকলের অংশ গ্রহণ সহজ হয়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালা কবুল করুকউনাদের সবাই কে দিনের পথে..
Mahraz Nanin Binty
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমাদের চারিদিকে কিয়ামতের আলামত গুলো দেখা দিচ্ছে এবং এই সংক্রান্ত ফিতনা গুলো ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক আকারে। আমরা অনেক সময়ই আইডেন্টিফাই করতে পারিনা কিয়ামতের আলামত কোনগুলো। কিছু একটা হতে দেখলে সেটাকেই নাম দিয়ে দিই কিয়ামতের আলামত। অনেকেই নিজেকে ইমাম মাহাদী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আবার অনেকেই বলে থাকি গাজওয়াতুল হিন্দ শুরু হয়ে গেছে বা সূচনা হচ্ছে। কেয়ামতের সমস্ত ফিতনা , বড় ছোট সব আলামত আইডেন্টিফাই করতে গেলে কুরআন-হাদিসের জ্ঞান আবশ্যক। বলাই বাহুল্য ,কেয়ামতের বড় আলামত গুলোর কোনোটিই এখনো প্রকাশিত হয়নি। আমরা সে সব থেকে এখনো অনেক দূরে, আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। আল্লাহ চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই সব সম্ভব।
কিয়ামতের ফিতনা এবং আলামত সংক্রান্ত একটি কোর্সের আয়োজন করেছিল তালিমুন নিসা পাঠশালা, গত মে মাসে। কোর্সটির নাম “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান”। কোর্স ইন্সট্রাক্টর : শাইখ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা মহান রবের যিনি আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ কোর্সটি করার তাওফিক দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। যেদিন এই কোর্সের এলান হচ্ছিল, তালিমুন নিসার CEO আপু বলছিলেন উনার খুব ইচ্ছা এই কোর্সটা সবাইকে করাতে পারতেন যদি! সেদিন ওনার কথার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে না পারলেও কোর্স শেষে ঠিকই উনার সেই দিনের সে কথার মর্মার্থ বুঝতে পারলাম। গায়ে আগুন লাগলে সেই আগুন নেভানো যতটা জরুরি, নয়তো আপনি পুড়ে যাবেন,,,কেয়ামতের আলামত এবং ফিতনা গুলো সম্পর্কে জানা ততটাই জরুরি।
আপনি এই সম্পর্কে বইপত্র পড়তে পারেন, তবে সেটাই যথেষ্ট না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোন দক্ষ আলেমের আন্ডারে থেকে পড়ালেখা করা যায়, এই সম্পর্কে বিস্তৃত জানা যায়, কোর্সের মত করে। কেননা একেক বইয়ে একেক রকম লেখা থাকে, সেক্ষেত্রে কনফিউজড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনও হতে পারে অনেক বিষয় আপনি ধরতেও পারবেন না কোন দিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। তাই কুরআন হাদিসের জ্ঞান আছে এমন কারো সাহচর্যে থেকে এ বিষয়ে পড়াশোনা করা বুদ্ধিমানের কাজ। এই কোর্সের যিনি ইন্সট্রাক্টর ছিলেন, তিনি আমাদেরকে প্রত্যেকটা বিষয় খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন,মাশাআল্লাহ। প্রতিটা ক্লাসে এই উপলব্ধি হয়েছিল যে আমি অনেক কিছুই ভুল জানতাম, আবার অনেক কিছুই আমার জন্য নতুন ছিল। ১২ টা ক্লাসের মাধ্যমে কোর্সটা সম্পন্ন হয়। প্রথম এবং শেষ ক্লাসে আমি অঝোর ধারায় কাঁদি। এমন কিছু বিষয় ছিল যেগুলো আমাকে গভীর চিন্তায় নিয়ে গিয়েছিল। এই কোর্স শেষে আরো একটি উপলব্ধি হলো গায়েবের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)যেহেতু বলছেন তাই সেটাই হবে সঠিক সময়ে, কখন কিভাবে হবে এই প্রশ্নের কোন দরকার নেই। এটাই ঈমান, এটাই তাওহীদ। যখন আপনি কেয়ামত, আখেরাত সম্পর্কে জানবেন তখন আপনার ঈমান এবং ইলম বৃদ্ধি পাবে, ইংশাআল্লাহ।
তালিমুন নিসা পাঠশালা কর্তৃপক্ষকে শুকরিয়া, জাযাকুমুল্লাহ খাইর ফিদ্দুনিয়া ওয়ালা আখিরহ। আমার ইচ্ছা তারা যদি আবারো এই কোর্সটা আনেন তাহলে খুবই ভালো হয়। কেয়ামতের আলামত, ফিতনা থেকে শুরু করে হাশর ,জান্নাত, জাহান্নাম পর্যন্ত বিস্তৃত আলোচনা ছিল। যারা সুযোগ পান নাই তারা এনরোল করতে পারেন। ইংশাআল্লাহ খুবই খুবই উপকৃত হবেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাকে কোর্সটা করার তাওফিক ফিক দিয়েছেন। আমারও এখন সিইও আপুর মতো করে বলতে ইচ্ছা হয় ,”যদি আমি কোর্সটা ধরে ধরে সবাইকে করাতে পারতাম!” সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমি প্রতি ক্লাসে আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করেছিলাম ,আলহামদুলিল্লাহ।
Juairia Nazneen
আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর একটা কোর্স।প্রতিটা দারস খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছে উস্তাদ।অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি।দু এক ক্লাসে কেঁদেছিও।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা কোর্স ছিল।💖💖
Sadia Afrin
Alhamdulillah Alloh Subhanahu waya tayalar osesh rohmot ebong taleemun nisar prochestay onek sundor,jibon ghonisto o khub shikkhonio ekti dars somponno korechi amra Alhamdulillah aala kulli haal. Oneek vul dharona chilo,onek ojana chilo sob kichu clear korechen ustaz amader k. Mathay gethe giyeche dars gulo homework er maddhome. Choto boro sob alamot gulo jani Alhamdulillah. Bacchader kiyamot niye kora prosner uttor dite parbo ekhon Alhamdulillah. Keu vul val bolle shudhre dite parbo Alhamdulillah. Alloh subhanahu uttom vabe amader ei gean ke upokari baniye din, taleemun nisa ke sodaqatul zariyahr jonno kora mehnot gulo kobul kore nin. Allohumma ameen 🌸
Faria Zannat
আলহামদুলিল্লাহ উস্তাদ কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে আগে অনেক এলোমেলো ভুল তথ্য জানতাম সেগুলো এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
আর প্রতিটা ক্লাস নিজেকে গোছানোর জন্য এক একটা রিমাইন্ডারের মতো ছিল আমার জন্য আলহামদুলিল্লাহ
শেখ নিশাদ( সুমাইয়া)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ’লামিন, আর রহমানির রহিম, আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়াসল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া যে তিনি আমাকে একজন সম্মানিত উস্তাদ, “শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ” এর তত্ত্বাবধানে “আশরাতুস সা’আহ ও ফিতান” কোর্সটির জন্য কবুল করেছেন! আলহামদুলিল্লাহ! চারপাশের মানুষদের শুদ্ধ-ভুল উক্তি, ফেসবুক – ইউটিউব এর নানা সত্য-মিথ্যায় মেশানো তথ্য আসলে মানুষকে ধাঁধায় ফেলে দেয়! মানুষ তখনই সত্য থেকে গাফেল হয়ে যায়, সত্য বিমুখ হয়ে যায় যখন একা একাই সত্যের সন্ধান করে এবং তার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে তা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়! ইসলাম একটি সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা! মানুষ-পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে এর ধ্বংস হয়ে জান্নত-জাহান্নাম পর্যন্ত সবকিছুই সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গাইড/শিক্ষক হিসেবে আল্লাহ বিভিন্ন নবী-রসূল পাঠিয়েছেন!
সুবহান আল্লাহ!
অভিজ্ঞ আলেমের সহবত ছাড়া একাই পাণ্ডিত্য অর্জন করতে গেলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি যেমনটি হয়েছে খ্রিষ্টানরা! এজন্যই স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষক পাঠিয়েছেন! আল্লাহু আকবর!
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার অনেক বিভ্রান্তি দূর করে দিয়েছেন এই কোর্সটির মাধ্যমে। চিন্তাভাবনার আমূল পরিবর্তন হয়েছে যা সত্যিকার অর্থেই আমাকে অনেকখানি দোটানায় ফেলে দিয়েছে! জীবন নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে! ভবিষ্যত লক্ষ্য পরিবর্তন করতে হেল্প করেছে!
সুবহান আল্লাহ! আমরা দুনিয়ায় অনেক পরিকল্পনা করি অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে নিয়ে! কিন্তু যা ভাবি, ঠিক তেমনি তা কমই হয়। অথচ, যেখানে ভবিষ্যত দৃশ্যমান, যা বলা আছে কোনো পরিবর্তন ছাড়া এক্সাক্ট তা-ই হবে, সেই নিশ্চিত ভবিষ্যতের সাথে নিজের জীবনকে একীভূত করে নতুনভাবে সুপরিকল্পনা করাটাই শ্রেয় মনে হয়েছে, যেখানে আল্লাহ বলেছেন “যারা বুদ্ধিমান তারাই উপদেশ গ্রহণ করে”।
আলহামদুলিল্লাহ এই কোর্সটি আমাকে সুনিশ্চিত ভবিষ্যত সম্পর্কে আরো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ আ’লা কুল্লি হাল!
জাজাকুমুল্লাহ খইরন ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ। তা’লিমুন নিছা এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক! আল্লাহ আপনাদের দুনিয়া,আখিরাত ও এর মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুতেই বারকাহ দান করুক।
আমিন স্বল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
আবিদা সুলতানা নূপুর
🌺🌺🌺🌺 আলহা’মদুলিল্লাহ, আলহা’মদুলিল্লাহ, ছুম্মা আ’লহামদুলিল্লাহ! আমি এই কোর্স টি করে এতো বেশি উপকৃত হয়েছি যে, আমার প্রিয় তা’লিমুন্নিসার আপুদের প্রতি, সম্মানিত শাইখের প্রতি এবং যার উছিলায় এই কোর্সটিতে এনরোল করতে পেরেছি, বরাবরের মতো আমার মা মনি ফারিয়া জান্নাত পাহমিনের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতায় বার বার তাঁদের জন্য দুয়া’ করে যাচ্ছি।
আলহা’মদুলিল্লাহ্! আমার দুর্বল ঈমান, হীন মনোবল কাটিয়ে এখন ঈমানী মনোবল অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলোর সম্মুখীন হয়ে গেলে যখন আমরা বুঝতে পারবো, বিশেষ করে দাজ্জালের সামনে পড়ে গেলে ★নাবী কারীম ছ্বল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে আ’মল করতে বলেছেন, দাজ্জালের সামনে যেভাবে চ্যালেন্জ নিতে বলেছেন, আলহা’মদুলিল্লাহ, তার প্র্যাকটিস হিসেবে আমি এখন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ও ভীতিকর পরিবেশে দুয়া’ + চ্যালেন্জ নিতে শিখে ফেলেছি আলহা’মদুলিল্লাহ!!!
***পরিবারকে এবং পরিচিত দেরকে তাদের অজ্ঞতা সূলভ আলামাত গুলো বলতে গেলে সহীহ্ হাদীসের আলোকে বুঝাতে পারতেছি, আলহা’মদুলিল্লাহ!!!
🌹🌹🌹আমার ই’লম্, আ’মল এর পাশাপাশি আখলাক্বও সুন্দর করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, আলহা’মদুলিল্লাহ!
🌼🌼আগে একটু বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য হাজব্যান্ডকে কত তোষামোদ করতাম, মন খারাপ করতাম। কিন্তু উস্তাদ যখন বলেছেন, দাজ্জালের ফাঁদে ঐসব মেয়েরাই বেশি পড়বে, যারা বেশি বেশি বাইরে ঘুরে বেড়ায়, নাবী কারীম ছ্বল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “”দাজ্জাল বের হলে তোমাদের পুরুষরা যেনো ঘরের মেয়েদের কে শক্ত করে বেঁধে রাখে।””
👉মেয়ারা তো একটু বেশি সরল হয়, মাজারে মাজারে বেশি যায়, কোন ভন্ড পীর একটু ভেল্কিবাজী দেখালেই ফাঁদে পড়ে যায়। তো বর্তমানে যদি এ অবস্হা হয় আমাদের নারী সমাজের। তাহলে দাজ্জাল কে আল্লহ তায়া’লা যে অলৌকিক ক্ষমতা দান করবেন, তখন কি উপায় হবে এই নারীদের???
🌺🌺🌺🌺আলহা’মদুলিল্লাাহ! উস্তাদের এ কথা গুলোই বেশি উপকৃত করেছে আমাকে। আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। এখন আমার হাজব্যান্ড আমাকে সাধলে ও আমি বাইরে যেতে চাইনা। আলহা’মদুলিল্লাহ!
👉👉👉👉👉সম্মানিত উস্তাদ এই কোর্সে আমাদেরকে ক্বিয়ামাতের আলামাত গুলো শিখাতে গিয়ে মানুষের সৃষ্টির শুরুর ঘটনা থেকে একেবারে দুনিয়া শেষ হয়ে আখরতের জীবনের হিসাব -নিকাশ, পুলসিরাত এবং শেষ পরিণতি জান্নাত ও জাহান্নাম পর্যন্ত সকল বিষয়ই আমাদের কাছে সুস্পষ্ট ভাবে উপস্থাপন করেছেন, আলহা’মদুলিল্লাহ!!!
মনে হচ্ছে সকল ঘটনা চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।
🌼🌼🌼 আমি অঝোর ধারায় কান্না করেছি,সম্মানিত উস্তাদের পবিত্র জবানে লাস্ট ক্লাসে আখিরতের ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনা শুনে!!!
🍁🍁🍁এত ভয়, কাফিরদেরতো কোনো হিসাবই হবেনা, তারা বিনা হিসাবেই জাহান্নামে যাবে। নাঊযুবিল্লাহি মিং যালিক!!!
👉👉👉হিসাব হবে মু’মিন, মুসলিমদের। যখন পুলসিরাত পার হতে যাবে, তখন সত্যিকারের মু’মিনগন যার যার নূর অনুযায়ী পার হবে, হতে হতে কেউ কেউ হামাগুড়ি দিয়েও পার হবে, আর তখনই মুসলমান নামধারী মুনাফিক দেরকে চেনা যাবে। তাদের নূর শেষ হয়ে যাবে, তারা ভয়ে মু’মিনদেরকে একটু নূর দেয়ার জন্য চিৎকার করে ডাকতে থাকবে, আহ্ কি বিভীষিকা ময় অবস্থা! কোনো কোনো মুনাফিক মু’মিনদের ভেতর ঢুকে পড়বে পুলসিরাত পার হওয়ার জন্য। কিন্তু মাঝখান থেকে জাহান্নামে তাদের জন্য একপ্রকার আংটা থাকবে, ঐ আংটা দিয়ে তাদেরকে টেনে টেনে জাহান্নামে ফেলা হবে।
আল্লহুআকবার!!! এ বর্ণনা গুলো আমাকে অনেক বেশি এখন মৃত্যু এবং আখিরত নিয়ে ভাবাচ্ছে!!!
★★★আল্লহ তায়া’লা আমাদের এই কোর্সের প্রতিটি বোনকেই এই কোর্স থেকে প্রাপ্ত ই’লম্ অনুযায়ী আ’মল করে দুনিয়া ও আখিরতে তাঁর অসীম রহ’মাতে দাখিল হওয়ার এবং চিরস্থায়ী জান্নাতের নিয়া’মাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া আরহা’মার রহ’মীন!!!
💕💕💕পরিশেষে আবারও আমার বোন দেরকে একেবারে অন্তরের অন্তস্তল থেকে দা’ওয়াহ্ দিয়ে যাচ্ছি, Pls.বোনেরা আপনারা অবশ্যই অবশ্যই ক্বিয়ামাতের আলামাত সম্পর্কে ভূয়া /সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে ভরা ইউটিউবের আলোচনার মধ্যে ডুবে না থেকে সহীহ্ ই’লম্ অর্জন করার জন্য পরবর্তীতে এই কোর্সে এনরোল করবেন, ইংশাআল্লহ্!
🌿🌿 আল্লহ্ সুবহা’নাহু ওয়া তায়া’লা সম্মানিত উস্তাদ কে পরিপূর্ণ জাঝায়ি খইর দান করুন।
প্রিয় তা’লিমুন্নিসা, জাঝাকুন্নাল্লহু খইরং কাছীরং ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরহ্!
💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕
আলহা’মদুলিল্লাহ!
মাহবুবাহ্ জাহান